আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাহুল গান্ধী এখনই আর কংগ্রেস সভপতির দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। বয়স এবং অসুস্থতার কারণে আর ওই পদে থাকতে আগ্রহী নন সনিয়া গান্ধীও । সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে সভাপতি করার দৌড়ে এগিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। স্বয়ং সনিয়া চান, তিনিই হোন পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কংগ্রেসের নতুন সভাপতি নির্বাচন করে ফেলার কথা। আবার এ মাসেই সনিয়া গান্ধীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়ার কথা। সনিয়া চান তিনি দেশ ছাড়ার আগে দায়িত্ব নিন গেহলট। কিন্তু রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এখনও নেত্রীকে কথা দেননি। তবে সনিয়া বিষয়টি বেশি দিন ঝুলিয়ে রাখারও পক্ষপাতী নন।
আসলে আগামী বছরের নভেম্বরে রাজস্থানে বিধানসভা ভোট। সনিয়ার ফর্মুলা হল, গেহলট মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দলের হাল ধরুন। অন্যদিকে, শচীন পাইলটকে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিক প্রদেশ কংগ্রেস। কিন্তু সমস্যা হল, গেহলট রাজ্য ছাড়ার ব্যাপারে মোটেই আগ্রহী নন। যদিও প্রতি মাসে এক দু’বার করে দিল্লিতে এআইসিসি দফতরে হাজির থাকেন। কিন্তু রাজস্থানকেই রাজনীতির প্রধান কর্মভূমি করে তুলেছেন। আসলে সভাপতি হওয়ার পর দলের বাকিদের থেকে কতটা সমর্থন পাবেন তা নিয়ে গেহলট সন্দিহান।
দলের বড় অংশও মনে করে, গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে এই মুহূর্তে সভাপতি পদে মেনে নেওয়া সহজ হবে না। আবার বিজেপির ‘কংগ্রেস মানে গান্ধী পরিবার’ প্রচারকেও দল উপেক্ষা করতে পারছে না।
দু’টি লোকসভা ভোটে হার, রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় সত্ত্বেও কংগ্রেসের প্রথমসারির নেতাদের মধ্যে সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব নিয়ে খুব একটা প্রশ্ন নেই, যা আছে রাহুলকে নিয়ে। কিন্তু সনিয়ার বিকল্প হিসাবে তাঁদের বেশিরভাগের পছন্দ আবার রাহুলই। সব মিলিয়ে গান্ধী পরিবারের প্রতি আস্থার প্রশ্নে কংগ্রেসের সিংহভাগ একজোট। কিন্তু জানা যাচ্ছে কংগ্রেস সভাপতি পদে আর নিজের ইনিংস দীর্ঘায়িত করতে চান না রাহুল-প্রিয়াঙ্কার মা’ও।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.